কেন্দ্রীয় অনুমান ছিল যে, যখন কিশোর-কিশোরীরা তাদের বাবা-মায়ের কাছ থেকে সঠিক এবং সামঞ্জস্যপূর্ণ প্রতিক্রিয়ার প্রত্যাশা করে, তখন তাদের সেই মূল্যবোধগুলো আত্মস্থ করার এবং সেই অনুযায়ী কাজ করার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
এই নিবন্ধটি সমাজ-বিরোধী আচরণের ক্ষেত্রে একটি সুনির্দিষ্ট পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেছিল। গবেষণায় দেখা গেছে যে, যেসব কিশোর-কিশোরী তাদের বাবা-মায়ের কাছ থেকে সমাজ-বিরোধী আচরণের (যেমন, অপরাধ বা আক্রমণাত্মকতা) প্রতি সঠিক প্রতিক্রিয়ার প্রত্যাশা করেছিল, তারা নিজেরাই এই ধরনের আচরণ কম করত। একটি ন্যায্য এবং যুক্তিসঙ্গত পিতামাতার প্রতিক্রিয়ার প্রত্যাশা প্রতিরোধের কাজ করেছিল।
বিপরীতভাবে, যেসব কিশোর-কিশোরী সমাজ-সমর্থক আচরণের প্রতি তাদের বাবা-মায়ের কাছ থেকে সঠিক প্রতিক্রিয়ার প্রত্যাশা করেছিল, তারা এই ধরনের ইতিবাচক কাজগুলো বেশি করত। এটি ইঙ্গিত দেয় যে বাবা-মায়ের অনুমোদন এবং ইতিবাচক মতামতের প্রত্যাশা কিশোর-কিশোরীদেরকে সহায়ক এবং গঠনমূলক আচরণে উৎসাহিত করে।
প্রতিবেদনে বাবা-মায়ের দেওয়া তথ্যের ওপর জোর দেওয়া হয়েছিল। মজার বিষয় হলো, মায়েদের দেওয়া শিশুদের আচরণের তথ্যও কিশোর-কিশোরীদের প্রত্যাশার সাথে মিলে গিয়েছিল। যেসব কিশোর-কিশোরী সঠিক প্রতিক্রিয়ার প্রত্যাশা করেছিল, মায়েরা তাদের মধ্যে অপরাধ এবং আক্রমণাত্মকতা কম হওয়ার কথা জানিয়েছিলেন, যা কিশোর-কিশোরীদের নিজেদের দেওয়া তথ্যের সত্যতা প্রমাণ করে।
এই নিবন্ধটি কৈশোর বিকাশে অনুভূত পিতামাতার প্রতিক্রিয়ার গুরুত্বকে একটি মূল কারণ হিসেবে তুলে ধরে। এটি জোর দেয় যে, একজন বাবা-মা যে প্রকৃত শৃঙ্খলা বা প্রশংসা করেন, শুধু সেটাই নয়, বরং সেই প্রতিক্রিয়াটি কেমন হবে সে সম্পর্কে কিশোর-কিশোরীর মানসিক ধারণাটিই তাদের আচরণকে প্রভাবিত করে। এটি এই ধারণাটিকে চ্যালেঞ্জ জানায় যে কিশোর-কিশোরীরা শুধুমাত্র বন্ধুদের দ্বারা প্রভাবিত হয় এবং এটি বোঝায় যে তাদের আচরণ গঠনে পিতামাতার প্রত্যাশা একটি গুরুত্বপূর্ণ শক্তি হিসাবে থেকে যায়।
No comments:
Post a Comment